টেনিসের ‘বড় তিন’-এর শেষ প্রতিনিধি নোভাক জোকোভিচ। রজার ফেদেরার অবসরে, অবসর না নিয়েও কোর্টের বাইরে রাফায়েল নাদাল। এই দুজনের সঙ্গে জোকোভিচ মিলে বিশ্ব টেনিসে যে ‘বড় তিনে’র বলয়; তার আধিপত্য এখনো বহমান।
রাফায়েল নাদাল, নোভাক জোকোভিচ, রদার ফেদেরার—টেনিস ইতিহাসে এই তিনজনই ২০ বা তার বেশি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন। যার মধ্যে ফেদেরার অবসর নিয়েছেন। এখনো খেলে চলেছেন জোকোভিচ ও নাদাল।
নোভাক জোকোভিচ ও রাফায়েল নাদালের সম্মিলিত একক গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা ৪৬ টি। কোনো প্রদর্শনী ইভেন্টের মর্যাদার বাড়ানোর জন্য এই দুই তারকাকে খেলানোর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে!
নোভাক জোকোভিচ, রাফায়েল নাদাল, রজার ফেদেরার—গত এক দশকে এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে নেই তিন টেনিস সুপারস্টারের একজনও। শুধু অস্ট্রেলিয়ান ওপেনই-বা বলছি কেন, কোনো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালই হয়নি, যেখানে এই ‘বিগ থ্রি’র একজনও ছিলেন না!
গ্র্যান্ড স্লাম ক্যারিয়ারে তাঁর সর্বোচ্চ দৌড় কোয়ার্টার ফাইনাল। গতবছরই ফ্লাশিং মিডোয় উঠেছিলেন শেষ আটে। তবে পেশাদার সার্কিটে নতুনের কেতন ওড়াচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে আসেন না তিনি। চীনের সেই ঝেং কিনওয়েন এবার উঠে গেলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে।
ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা পরিশোধ করতে চাননি। পরিশোধ করার ক্ষমতা না থাকলে আলাদা কথা ছিল। কিন্তু ঋণ পরিশোধ করবেন না বলে কাগজে-কলমে তিনি দেখিয়েছিলেন, পরিশোধের আর্থিক সামর্থ্য তাঁর নেই। এই সম্পদ গোপনের জন্য দুই বছরের স্থগিত জেল হয়েছে মেয়েদের টেনিসের সাবেক ‘নাম্বার ওয়ান’ আরাঞ্চা সানচেজ ভিকারি
সবচেয়ে বেশি ২৩টি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা তাঁর। সবচেয়ে বেশি ৩৯টি মাস্টার্সও। টেনিসের মর্যাদাপূর্ণ সব রেকর্ডই যখন তাঁর দখলে, তখন গ্র্যান্ড স্লামে সবচেয়ে বেশি সেমিফাইনাল খেলার রেকর্ডটিই বাকি থাকবে কেন! ইউএস ওপেনে পরশু যুক্তরাষ্ট্রের টেলর ফ্রিজকে ৬-১,
রজার ফেদেরার সেরে উঠলেও গ্র্যান্ড স্লাম খেলার অবস্থায় নেই, ‘নাছোড়বান্দা’ নোভাক জোকোভিচ করোনা প্রতিরোধী টিকা না নিয়ে নিজ পায়েই কুড়াল মারছেন আর কাদামাটির কোর্টের বাইরে প্রায়ই খেই হারিয়ে ফেলা রাফায়েল নাদালকে আরও সাদামাটা করে তুলেছে পুরোনো চোট আর পারিবারিক টান...
নিজের মনকে প্রশ্ন করতে গিয়ে উল্টো জেরার সম্মুখীন হচ্ছিলেন কি না, কে জানে! তবে আজ হোক কিংবা কাল—ঘোষণাটা কোনো না কোনো দিন দিতেই হতো।
বছরের প্রথম দুই গ্র্যান্ড স্লাম জিতে রজার ফেদেরার ও নোভাক জোকোভিচকে ছাড়িয়ে গেছেন রাফায়েল নাদাল (২২ শিরোপা)। সদ্য সমাপ্ত উইম্বলডন জিতে নাদালের ঘাড়ে আবার নিশ্বাস ফেলেতে শুরু করেছেন জোকো (২১ শিরোপা)। সার্বিয়ান তারকা যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জিতে নাদালকে ছুঁয়ে ফেলার অপেক্ষায় আছেন।
৩৬ বছর বয়সেও অনবদ্য নাদাল। ২২তম গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে নাদাল জিতেছেন ১৪তম ফ্রেঞ্চ ওপেন শিরোপা। চোটাক্রান্ত নাদাল অনিশ্চয়তা সঙ্গে নিয়েও ছুটছেন দারুণভাবে। থামছে না নাদালের প্রশংসাও। এবার টেনিস কোচ ইভান জুবিসিচ ফ্রেঞ্চ ওপেনের কোর্ট লাল দুর্গের রাজা নাদালের নামে করার দাবি জানিয়েছে
করোনা টিকার বিরোধিতা করায় নোভাক জোকোভিচকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন না খেলেই ফিরতে হয়েছিল। মেলবোর্নের টেনিস কোর্টে নামার অনুমতি পেতে আইনের কোর্টেও গিয়েছিলেন। তবে সার্বিয়ান মহাতারকার মামলা ধোপে টেকেনি।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নতুন রানি হলেন অ্যাশলে বার্টি। ফাইনালে আজ ড্যানিয়েলে কলিন্সকে সরাসরি সেটে উড়িয়ে ৪৪ বছর পর কোনো অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে গ্র্যান্ড স্লাম জিতলেন বার্টি। রড লেভার এরিনায় কলিন্সের বিপক্ষে বাছাইয়ের এক নম্বরে থাকা বার্টির জয় ৬-৩,৭-৬ (৭-২) গেমে।
ক্রিকেট যাঁর নেশা, তাঁকে কি ব্যাট-বল থেকে দূরে রাখা যায়? যায়ওনি। বিশ্ব র্যাংকিংয়ের শীর্ষ নারী টেনিস তারকা অ্যাশলে বার্টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মাঝেই ব্যাট-বল নিয়ে মজে গেছেন। আজ সকালে মেলবোর্ন পার্কের করিডোরেই নিজের সাপোর্ট টিমের সদস্যদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলায় মেতে ওঠেন তিনি।
টিকা না নেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে পারেননি শীর্ষ বাছাই নোভাক জোকোভিচ। অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি এই সার্বিয়ান তারকার। টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে হয় তাঁকে।
২৮ মিনিটের টাইব্রেকার, ভাবা যায়? আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো তো এরই মধ্যে টাইব্রেকারকে বলছে ‘পাগলাটে’, ম্যাচকে বলছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা।
আদালয়ের রায় জোকোভিচের পক্ষে আসায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা ফেরত পেতে যাচ্ছেন জোকোভিচ। আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামে খেলতে আর কোনো বাধা রইল না টেনিসনের এই শীর্ষ বাছাইয়ের।